সম্পর্কের সীমারেখা অথবা সীমারেখার সম্পর্ক

ভালবাসি তোমায় (ফেব্রুয়ারী ২০১৪)

Rumana Sobhan Porag
  • ১৭
  • ৮৮
বাড়িতে শুনশান নিরবতা ।কাজের মেয়েটি অজয় কে নিয়ে মাঠে খেলতে গ্যাছে। অজয়ের বয়স সাত বছর। এই বয়সে তার ভীষণ ব্যস্ততা। অফিস থেকে ফেরার সময় রেমু অনেক চেষ্টা করল ওকে সঙ্গে নিয়ে ফিরতে , কিন্তু কিছুতেই আসলনা, রেমু একাই বাড়ি ফিরল ।
ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা জল বের করে বেডরুমে গিয়ে কাপড় জামা ছেড়ে ম্যাক্সি পড়ল। অসহ্য গরম পড়েছে, লেবু মেশান ঠান্ডা জল নিয়ে ড্রাইং রুমে এসে লাপটপে ফেসবুক ওপেন করে বন্ধুদের দেয়া নটিফিকেশন আর ম্যসেজ গুলো পড়ছে আর একা একাই হাসছে রেমু ।
মাঝাড়ি গড়নের একটু খেয়ালি প্রকৃতির মেয়ে রেমু। বান্ধবিরা ওকে উল্টা সেলোয়ার বলে ডাকে। একবার ইনিভার্সিটিতে রেমু উল্টো সেলোয়ার পরে গিয়েছিল, টিউটোরিয়াল ক্লাস চলা কালে আফরোজা ম্যডাম সবার সামনেই বলেছিলেন আজকাল কি সেলোয়ারের সেলাই সামনের দিকে দেয়াটা ফ্যাশন নাকি? এর পর থেকে সবাই রেমুকে উল্টা সেলোয়ার নামেই ডাকে। বন্ধু বান্ধবদের দেয়া নাম বাবা মার দেয়া নামের চাইতেও বেশি স্হায়ী হয়। এখনও রেমুর বন্ধুরা ওকে ঐ নামেই টেক্সট পাঠায় ।
দক্ষিনের জানালা দিয়ে হুম হুম করে বাতাস আসছে । রেমুর মনটা প্রশান্তিতে ভরে গেল। অফিসার্স কোয়াটারে থাকার এই এক সুবিধা, কম্পাউন্ডের ভেতরে বিশাল খেলার মাঠ। এছাড়া চেকিং পয়েন্ট সার্বক্ষনিক নিরাপত্তা। শহরের ভেতরে এমন নিরিবিলি পরিবেশ তো পাওয়াই যায়না ! বিয়ের পর প্রথম যখন রেমু এই কোয়াটারে এসে উঠেছিল তখন ভেবেছে আর্মি অফিসারের সাথে বিয়ে না হলে এমন সুন্দর পরিবেশ হয়তো চোখের আড়ালেই রয়ে যেত। অথচ একটা সময় এই নিরাবতাই রেমুকে গ্রাস করছে।
রেমুর স্বামী মেজর সোমেন , ২০০০ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে রেমুকে দেখে রীতিমতো নির্লজ্যের মতো সেখানেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। সুদর্শন একজন আর্মি অফিসার কে মেয়েজামাই করার সৌভাগ্য কোনো বাবা মাই হাত ছাড়া করতে চাননা। আর যেখানে পাত্র নিজে বিয়ের জন্য তাগাদা দেয় সেখানে তো বিনা দানেই কন্যা সম্প্রদান করা যায়। রেমুর বাবাও সেই সূযোগটা হাতছাড়া করলেন না। তাছাড়া তিনি সবসময় বলতেন ‘আমার এই মেয়েটির মাথায় বুদ্ধি কম। এর নিজস্ব কোনো গতি নেই কিন্তু টানেল তৈরী করে দিলে ঠিকই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে আর বাধা দিলে জীবনেও উঠে দাড়াতে পারবেনা। তাই এর জীবনের সব সিদ্ধান্ত আমাকেই নিতে হবে’। এক মাসের মধ্যেই রেমুর বিয়ের কাজ সম্পন্ন করলেন শঙ্কর বাবু।
রেমুকে দেখে সোমেন প্রথমে যতটাই মুগ্ধ হয়েছিল মিশে ততটাই আশাহত হয়েছে। মেয়েটি রাগ ,খুনসুটি, ঝগড়া কোনোটাই করেনা ।কোনো কিছুর জন্য বায়নাও ধরেনা। আবার অবাকও হয়না। অফিস শেষে সোমেন হয় ক্লাব না হয় আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বা পার্টি এটেন্ড করে রাত এগারোটার আগে কখনই বাসায় ফেরেনা । নিজের মত করে জীবনটাকে উপোভোগ করে সে।
রেমুর সাথে সোমেনের তেমন গল্প গুজব হয়না, রেমুকে ঠিক তার স্বাভাবিক গোছের মেয়ে মনে হয় না। ও যে কখন কি করতে চায় তা প্রেডিক্ট করতে পারেনা সোমেন । বেশ কিছুদিন আগের একটা ঘটনা বলি, একদিন রাতে রেমু মশারী টানাতে গিয়ে দেখল মশারীর একটা কোনার দড়িটা ছিড়ে গ্যাছে হাতের কাছে কোনো দড়ি খুজে না পেয়ে সোমেনের ব্রাসেলস থেকে আনা খুব প্রিয় একটা টাই দিয়ে মশারীর কোনা জানালার সাথে বেধেছিল। নেহাত আর্মির চাকরি করে বলে সোমেন সেদিন রেমুর গায়ে হাত তুলতে পারনি , না হলে পা থেকে স্যন্ডেল খুলে কয়েকটা চড় ওর গালে বসিয়ে দিত। আরেক দিন রেমু কে এক লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়ে ব্যংকে পাঠিয়েছিল ক্যাশ করে আনার জন্যে । সিগ্নেচারে সামান্য গড়মিল ছিল বলে অফিসার রেমুকে বলেছিল সোমেন সাহেব আপনার কে হন? সহজ ভঙ্গিতে রেমু বলেছিল উনি আমার বন্ধু হন। এরপর ভধ্রলোক রেমুকে অপেক্ষা করতে বলে সোমেন কে ফোনে বলেছিলেন স্যার আপনার বান্ধবিকে দেয়া চেকটিতে আপনার সিগ্নেচার একটু গরমিল আছে আমি কি ওনাকে টাকাটা দিয়ে দেব? সেদিন সোমেন একটু চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। হয় মেয়েটার মাথা খারাপ আর নাহলে হাড়ে হাড়ে শয়তান, ওকে দিয়ে যাতে কোনো কাজ না করাই সে কারনে এমন অপদস্ত করছে ।
সেদিন রাগে কোনো দিশা না পেয়ে কি বলবে ভেবে পাচ্ছিলনা সোমেন বলেছিল, ‘তোমার বাপ কি প্রতি সপ্তাহে এসে শুধু নাকের নীচ দিয়ে খাবার গুজে নাকি হাতে করে চারটা আপেল কমলাও নিয়ে আসে নাতির জন্যে ? বলে সোমেন ভয় পেয়ে গেল । এরকম অপমান করলে মেয়েরা সচরাচর ঘন্টা খানেক কান্নাকাটি করে, খাওয়া বন্ধ করে আর নাহলে বাপের বাড়ি চলে যায়। রেমু এর কোনোটিই করলনা । খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে উইমেনস হরলিক্স খাচ্ছিল আর দদাগিড়ি দেখছিল। আঘাত বা অবহেলা কোনোটিই একে টাচ করেনা।
রেমু নিজেকে নিয়ে ভাবে আর দশটা স্বামীর মত সোমেন কেন তার বন্ধু হয় না কেন ওর বিষয়ে কোনো প্রশ্ন করার অধিকার বা সূযোগ দেয়না । শ্বশুর বাড়ি থেকে সামান্য কয়েকটা ফার্নিচার আর ইলেকট্রনিক্স গুডস না পাওয়ার জন্য লোকটা কেমন মুখ ভাড় করে রাখে ! কথা বলেনা, দেরী করে বাড়ি ফেরে, রেমু একদিন জিজ্ঞেস করেছিল এত রাত পর্যন্ত তুমি বাইরে কি কর? এর উওরে সোমেন এমন একটা ইঙ্গিত পূর্ন প্রশ্ন করেছিল যে রেমুর মনে হয়েছিল শুধু জৈবিক আর অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছাড়া তাদের মাঝে আর কোনো যোগাযোগ হবেনা।
তবে রেমুর প্রতিটি চালচলনের উপর সোমেনের কড়া নজর থাকে । বিয়ের পর রেমুকে বলেছে পড়ালেখাটা শেষ করে ঘরের দিকে নজর দেবে অথচ পড়া শেষ করার আগেই রেমুকে মা হতে হয়েছে। এর পর তো বিরাট ইতিহাস । একবার একটা প্রাইভেট অরগানাইজেশনে এসিসট্যান্ট ডিরেকটর পোস্টে রেমু সোমেনকে না জানিয়েই এপ্লাই করেছিল। আর চাকরিটা পাবার পর অনেক ভয়ে ভয়ে সোমেনকে সংবাদটি দিয়েছিল রেমু, স্যলারি স্ট্রাকচার শোনার পরে সোমেন একটু খুশিই হয়ছিল মনে হয়।
কিন্তু এক মাস পরেই রেমুকে দিয়ে শুভ্রর নামে ইনশোওরেন্স করিয়েছে যার প্রিমিয়াম দিতে রেমুর পুরমাসের বেতনটাই চলে যেত। রেমু যাতে বাধ সাধতে না পারে সে জন্য বলেছে তুমি নিজের গাড়িতে যাবে আসবে এছাড়া একটা প্লাটিনাম কার্ড ও তো তোমাকে দিয়েছি , এর পরও যদি হাতখরচ লাগে তা আমার কাছ থেকে নেবে। বেতনের টাকাটা শুভ্রর স্যাকরিফাইসের মূল্য হিসেবেই তোলা থাক এতে যদি তোমার কিছুটা পাপমোচন হয়। চাকরি করা কে যদি কেউ পাপের সামিল মনে করে তার সাথে তর্কে যাওয়াটা বোকামি তাই রেমু কোনো প্রতিবাদ করেনি। এছাড়া প্রতিবাদ করা রেমুর স্বভাব বিরুদ্ধ।
বাড়িতে সবার ছোট হওয়ায় সব ভাই বোনেরাই রেমু কে ভীষন ভালবাসত। কোনো কিছু চাইবার আগেই রেমু পেয়েছে তাই কখনই দ্বন্দ সংঘাতের মুখোমুখি রেমুকে হতে হয়নি। রেমু যাতে বিধবা বোনকে বেতনের টাকা দিতে না পারে সে কারনেই সোমেন এমনটা করেছে, রেমু ঠিকই বুঝতে পারে। আর ক্রেডিট কার্ডটি তো স্পাউস কার্ড, রেমু যাই কেনাকটা করুক না কেন খরচের টাকার পরিমানের হিসেবটা ঠিকই ব্যাংক থেকে সোমেনের সেল ফোনে পাঠানো হবে।
রেমু সব সময় অনুভব করে তার চারপাশে একটা অদৃশ্য জাল। কখনও কখনও ভাবে ও চিৎকার করছে কিন্তু কোনো আওয়াজ হচ্ছেনা। রেমুর দম বন্ধ হয়ে আসে। শুভ্রর জন্য তার এই আত্ম ত্যাগ। ভয়াবহ এক মানসিক যন্ত্রনা রেমুকে তাড়া করে ফেরে, প্রতি মুহুর্তে অনিচ্ছার সাথে কম্প্রোমাইস করছে, মেনে নিতে হচ্ছে মনের সকল না মানার কাজ গুলো, এ যেন এক অদৃশ্য জাল যার কোন ছিদ্র দিয়ে বেড়োতে পারেনা রেমু । কোথাও একটু বন্ধুত্বের, নির্ভরতা বা বিশ্বাসের কোনো আশ্রয় নেই। চিৎকার করে কাদার সামান্য স্পেস টুকুও নেই রেমুর।
শুভ্রকে ঘুম পারিয়ে রেমু ল্যাপটপে চোখ গুজে বসে থাকে, আজকাল এটা রেমুর অভ্যেসে পরিনত হয়েছে, সারাক্ষন ফেসবুকিং। হয় মোবাইলে না হয় ল্যাপটপে বসে চ্যাটিং চলতেই থাকে। খুব লাজুক প্রকৃতির মেয়ে ছিল রেমু , স্কুল, কলেজ আর ইউনিভার্সিটি তে সব মিলিয়ে তার বন্ধু সংখ্যা হাতে গোনা ৩০ জনও ছিলনা। অথচ এখন ওর বন্ধু সংখ্যা ১১৮০ জন। কাজের সুবাদেই এই বন্ধুর সংখ্যা বেড়েছে।
ফ্রেন্ড লিস্টে অনেক বন্ধু থাকলেও ছোটো বেলার এই বান্ধবিদের সাথে প্রতিদিন ফেসবুকে যোগাযোগ হয়। কে কি কিনল, কে কি রাধল সব ছবি আপলোড করে ফেসবুকে পোস্ট করা আর এর উপর চলতে থাকে লাইক দেয়া আর কমেন্ট করা।
বর্তমানে এক ভদ্রলোকের সাথে রেমুর বেশ চ্যাটিং হয়। প্রথম প্রথম কুশল বিনিময় হলেও ইদানিং রীতিমত তার টেক্সট পাবার অপেক্ষায় থাকে রেমু। হঠাৎই এই একঘেয়ে জীবণের সুরে নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। একটা দমকা হাওয়া এসে রেমুকে সফোকেশনের হাত থেকে রক্ষা করল নাকি গভীর সমুদ্রে নিক্ষেপ করল বুঝতে পারেনা রেমু ? শুধু বুঝতে পারে এই লোকটির সাথে কথা না হলে তার এক ধরনের এমটি ফিলিং হয়।
ভদ্রলোকটির নাম মোন চ্যটার্জি, পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এই প্রথম কোনো লোকের নাম মোন দেখল রেমু। মোনের প্রতিটি টেক্সট পড়লেই রেমুর মন ভাল হয়ে যায়। কোনো লোক কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই বন্ধুর মত, কখনও একান্ত আপন মানুষের মত কথা বলতে পারে মোনের সাথে বন্ধুত্ব না হলে বুঝতেই পারতনা রেমু। রেমু খেয়াল করে দেখেছে তার এই তিরিশ উর্দ্ধ বয়সে নতুন করে সবকিছুতেই ভাললাগা তৈরী হচ্ছে। অকারনেই সবকিছুতে আনন্দ পায়, আগের চাইতে আরও বেশি সোসাল হয়েছে রেমু। মাঝেমধ্যে নিজেকে দেখে নিজেই অবাক হয় এই পরিনত বয়সে কিশোরিদের মত এত আবেগ তার মত একজন রাশভারী মহিলার বাহ্যিক ইমেজে কিভাবে প্রভাব ফেলছে! নিজের এই পরিবর্তনে ভেতরে ভেতরে ভীষন লজ্জা পায় রেমু।
অথচ মোনের সাথে তার কখনও ভিডিও কল হয়নি, মোনের ভয়েস কেমন তাও রেমু জানেনা, জানতেও চায়না । মোন যে কখনও কখনও রেমুর টেক্সটের অপক্ষায় থাকে তা ঢের বুঝতে পারে। একদিন রেমুকে মোন বলেছিল আপনার আপনার হাসিতে মাদকতা আছে যা আচ্ছন্ন করে, এতটুকুই বলেছিল। রেমু প্রথমে বুঝতে পারেনি, অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল আপনি কোথায় আমাকে দেখলেন? কেন প্রোফাইল পিকচারে। পরে রেমুও ওর প্রোফাইল দেখেছে । ছিমছাম গড়নের । চেহারার মাঝে একটু যক্ষা রোগি ভাব আছে মোনের । তবে সব কিছু ছাপিয়ে গেছে ওর ব্যক্তিত্ব । অসম্ভব ভাল একজন মানুষ। দুই সন্তানের জনক মোন।
দুজনেই বুঝতে পারে একটা ভাললাগা জন্ম নিয়েছিল দুজনার মনে। এই ভাললাগার কোনো সহজ সংজ্ঞা খুজে পায়না রেমু, পারেনা এই সম্পর্কটাকে কোনো ছকে ফেলতে । ভাবে একে প্রনয় বা পরকীয়া কোনোটাই বলা যাবেনা, মোহোও বলা যাবেনা । কোনো পারস্পরিক দায়বদ্ধতা নেই একে অপরের প্রতি। কি নাম দেবে এই সম্পর্কের ? সম্পর্কের সীমারেখা নাকি সীমারেখার সম্পর্ক ?
দ্বিধা আর দ্বন্দ সবসময় আচ্ছন্ন করে রাখে রেমুকে । হতাশা আর ক্লান্তি থেকে মুক্তির জন্য এ কেমন আচড়ন করছে সে। প্রতিক্ষনই ভাবে ফেসবুকে মোনের সাথে কনভারশেশনটা মিউট করে ফেলবে। কিন্তু নিজের অজান্তেই চ্যাট লিস্টে মোনকে খোজে রেমু। নিজেকে ধিক্কার দেয় । এই মধ্য তিরিশে কিশোরীদের মত আচড়ন তাকে মানায়না। নিজের কাছেই মাঝে মাঝে নিজেকে বেহায়া মনে হয় রেমুর , নারী হিসাবে এতে যে নিজের মর্যাদা খর্ব হচ্ছে তা সে ঢের বুঝতে পারে। আবার সেই ভদ্রলোকটিই বা কি মনে করবে! এসব সাত পাঁচ ভেবে একদিন সত্যি সত্যিই রেমু কনভারসেশনটা অফ করে দিল মোনের সাথে।
কিন্ত ইতিমধ্যেই কল্পনায় মোনের একটি অবয়ব তৈরী করেছে নিজের মাঝে, ইচ্ছে করলেই মোনকে মানসপটে আনতে পারে। খুনসুটি করে, ঝগড়া করে আর গলা জড়িয়ে ধরে কাঁদে , মোন যখন রেমুকে জড়িয়ে ধরে রেমুর দেহ মন প্রশান্তিতে ভড়ে যায়, রেমু অনুভব করে মোনের স্পর্শে কোনো উওাপ নেই আছে শুধু চাঁদের আলোর মোতো স্নিগ্ধতা , যে আলোর দিকে তাকালে চোখ জ্বলে না! মোনের কাছে মনের সব কথা খুলে বলা যায়। ।মোন তার ভুল কে ভুল বলেনা আবার শুদ্ধ কেও অনুপ্রানিত করেনা, সে শুধু একজন নিরব শ্রোতা। যে পরম স্নেহ আর আদর নিয়ে রেমুর অপেক্ষায় থাকে । সবই হয় রেমুর এই কাল্পনিক মোনের সাথে। সোমেনের অবজ্ঞা, অবহেলা কোনো কিছুই আর মোনের তৈরী করা ভালবাসার প্রাচীর কে ভেঙ্গে রেমুর কাছে পৌছতে পারেনা।
নতুন করে বেচে থাকার মানে খুজে পায় রেমু,
অলস দুপুরে, ক্লান্ত বিকেলে কিমবা বৃষ্টি ভেজা সন্ধায় মোনের মাঝে ডুবে থাকে সে ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # বাস্তবতার হ্যাঁচকাটানে বেশ চম?কার একটি লেখা ।।
মোঃ আক্তারুজ্জামান আপনার চিন্তায় ভিন্নতা থাকে, বৈচিত্র্য থাকে যা লেখাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। সুন্দর লিখেছেন।
dhonnobad jaman bhai.
ভালো লাগেনি ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
মোঃ মহিউদ্দীন সান্‌তু বেশ সুন্দর গল্প, সত্যিই, ভালবাসার প্রাচীর কোন অবজ্ঞা, অবহেলায় ভাঙ্গা যায় না। চমৎকার লিখেছেন শ্রদ্ধেয়া আপু, শুভকামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
onek dhonnobad Santu, valo thakben.
ভালো লাগেনি ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
নাফিসা রহমান বিয়ের পর সব মেয়েকেই কম বেশি এরকম সমস্যা face করতে হয় .... অনেক শুভেচছা রইল আপু....
ভালো লাগেনি ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
মাসুম বাদল অনেক অনেক শুভকামনা...
ভালো লাগেনি ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
বশির আহমেদ মানব মনের দ্বৈতসত্তাকে সুন্দর ভাবে তুলে এনেছেন রেমু চরিত্রের মাঝে ্ খুব ভাল লাগলো আপনার লেখা ।
ভালো লাগেনি ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
Dhonnobad Bosir bhai.
ভালো লাগেনি ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
হাবিব রহমান ভিন্ন স্বাদের গল্প। ভাল লিখেছেন।
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
Habib bhai ami cheyechilam meyetike porobortite manosik rogi dekhabo, pore r sedike turn neini.Dhonnobad apnake.
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
মিলন বনিক রুমানা আপু...যাই হোক এরই নাম প্রেম...খুব খুব ভালো লাগলো....প্রিয়তে রাখলাম.....
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
Thanks Milon Bhai.
ভালো লাগেনি ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
কবি এবং হিমু গল্পটি পড়ে ভালই লাগল।
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
Dhonnobad Hasan Bhai
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
নাজনীন পলি খুব তাড়াহুড়া করে টাইপ করেছেন বলে মনে হল তবে গল্প ভাল লেগেছে .........।
ভালো লাগেনি ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
Naznin apa apni to ontorjami, asolei ami khub tara hura kore likhechi.
ভালো লাগেনি ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

১৯ অক্টোবর - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪